A solo tour to “বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি”
বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি ( Birulia Jomidar Bari )
ঢাকার এই ব্যস্তময় জীবনে মন যখন অবসাদ খুজে ও সময় বেশি না থাকায় দুরত্ব মান্য করে তখন ঢাকার একদম নিকটে গ্রামীন পরিবেশে গ্রাম্য-সাধারণ মানুষের মাঝে হারিয়ে যাওয়ার মত একটি জায়গা এই বিরুলিয়া গ্রাম, ব্রীজ এবং এই গ্রামেরই রজনীকান্তের জমিদার বাড়ি।
তাই এবারও যেমন ভাবা তেমন কাজ, বেরিয়ে পড়ি জমিদার বাড়ির উদ্দেশ্যে। আমার সাথে সঙ্গী বলতে আমার ছায়া ও দোস্ত গুগল ম্যাপস।
তুরাগ নদীর পাড়ে প্রাচীন জনপদ ও ছোট্ট একটি গ্রাম নাম বিরুলিয়া। জমিদার রজনীকান্তের সুদৃশ্য জমিদার বাড়ি ও সঙ্গে প্রায় ১১টি প্রাচীন স্থাপনার জন্য বিরুলিয়া বিখ্যাত।
বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি
যাতায়াত পরিকল্পনাঃ
আপনি বাংলাদেশ কিংবা ঢাকার যেকোন প্রান্ত থেকে চলে আসবেন প্রথমে মিরপুর ১ সার্কেলে। সেখান থেকে আলিফ বা মোহনা পরিবহনের বাস যায়। উঠে নামবেন একদম বিরুলিয়া ব্রীজ। নেমে কোন অটো, লেগুনা বা রিক্সা কিছুই নেওয়ার দরকার নেই। নেমেই হাটতে থাকবেন বিরুলিয়া ব্রীজ দিয়ে সোজা সামনে এবং তুরাগ নদী দেখতে দেখতে নির্মল বাতাসে আগাতে থাকবেন। এগোতে দেখবেন ব্রীজের শেষ মাথা থেকে হাতের বাম দিকে একটা ছোট ব্রীজ ও গ্রামীন রাস্তা বয়ে গিয়েছে। ঐ রাস্তাকে অনুসরণ করে হাটতে থাকুন এবং ব্রীজের Side view উপভোগ করুন। হাটতে হাটতে শুরু হবে বিরুলিয়া গ্রাম। গ্রামে ঢুকে যেকোন একজন মানুষকে হাসিমুখে ঠিকানা জিজ্ঞেস করুন। উনি একটা মেঠো পথ দেখিয়ে দিবে এগোতে থাকুন। হাটার সময় দেখবেন একদম গ্রামীন পরিবেশের ছোয়া এমনকি ওখানে কিছু মাটির বাড়িও রয়েছে যা ঢাকা বা আশেপাশের গ্রামে পাওয়া দুষ্কর। এভাবে ৫মিনিট হাটলেই সামনে নজরে পড়বে রজনীকান্তের জমিদার বাড়ি বা বিরুলিয়া জমিদার বাড়ি। বাড়ির পেছনেও রয়েছে ছােট নদী তবে তা এখন প্রায় মৃত। দেখা শেষ হলে ঠিক একই উপায়ে চলে আসুন।
খরচঃ
আসলে খরচ বলতে তেমন কিছুই নাই। তবুও উল্লেখ্য-
মিরপুর ১ থেকে বিরুলিয়া ব্রীজ : ২০টাকা (যাওয়া)
বিরুলিয়া ব্রীজ থেকে মিরপুর ১ : ২০টাকা(আসা)
খাওয়া দাওয়া সব মিলিয়ে ৪০০-৫০০টাকাতে হয়ে যাবে। এছাড়া কেউ রিক্সা বা অটো যোগে যেতে চাইলে যাওয়া যাবে জমিদার বাড়িতে সেক্ষেত্রে ভাড়া মিটিয়ে নিতে হবে।
নোট টু ফলোঃ
১. দুপুরের খাওয়া দাওয়া করতে চাইলে এখানে কিছু নাই তাই বিরুলিয়া বাজারে অটোতে বা রিক্সায় করে চলে যেতে হবে। ওখানে কিছু হোটেল রয়েছে তবে তেমন ভালো মানের না।
২. জমিদার বাড়িতে এখনো গ্রামের কিছু সর্বসাধারণের বসবাস তাই তাদের অসুবিধা হয় এমন কোন কাজ না করা।
৩. এখানকার মানুষ যথেষ্ট সহজ সরল ও ভালো মনের তাই কোন কারণে তাদের সাথে বাজে ব্যবহার না করা বা ঝামেলায় না জড়ানো।
৪. আলিফ বা মোহনা বাস মিরপুর ১৪ থেকে ছেড়ে আসে তাই কেউ ১৪,১০,২ নম্বরের হলে আগেই উঠে পড়তে পারবেন বাসে।
“ভ্রমনে সচেতন থাকব। ময়লা ফেলবনা এবং অন্যকে এই ব্যাপারে সচেতন করব”