পটুয়াখালী

পায়রা বন্দর ভ্রমণ

পায়রা বন্দর ভ্রমণ

দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দর এর যাত্রা শুরু হলো। এর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলও অপার সম্ভাবনার দিকে যাত্রা শুরু করল। গত ১৪ আগস্ট সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরের পর এটা বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরকে ঘিরে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য তথা সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নতুন চাঞ্চল্য দেখা দেবে- এটাই প্রত্যাশা। জানা গেছে, পায়রা বন্দরে গভীর সমুদ্রে বিচরণক্ষম ৮-১০ ড্রাফটের জাহাজ ধারণের পরিকল্পনা থাকছে, যে সুযোগ চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে নেই। স্বল্প পরিসরে কাজ করার জন্য পায়রা বন্দর বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে বন্দর এলাকায়, বসানো হয়েছে সমুদ্র ও নদীপথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বয়া ও বাতি। বন্দরে ভিএইএফ রেডিও কন্ট্রোল স্থাপন, ১ হাজার কেভিএ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, পানি শোধনাগার, সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে আলোকিত করা, নিরাপত্তা ও কাস্টমস ভবনসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা চালু হয়েছে।

payra port

পায়রা বন্দর

আগামী দশ বছরের মধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দরের পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ হবে। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ৯৫ শতাংশ সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। তার মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবদানই ৯২ ভাগ। জাতীয় প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে, দেশের সমুদ্র বন্দর কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নির্মিত হয়েছে পায়রা সমুদ্র বন্দর। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে রাবনাবাদ চ্যানেলের তীরে এটি অবস্থিত। সমুদ্র বন্দরটি নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। প্রায় ৬ হাজার একর জায়গা ঘিরে পরিকল্পনা করা হচ্ছে পায়রা বন্দর নির্মাণের। মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, কয়লা আনা-নেয়ার জন্য টার্মিনাল নির্মাণ, ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করা, নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণ, ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, স্কুল, ব্যাংক, বিনোদন এলাকা, বাণিজ্যকেন্দ্র, আইটি সেন্টার, হাসপাতাল ইত্যাদি নির্মাণ।

পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে গড়ে উঠবে ইপিজেড, এসইজেড, জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত শিল্পসহ অনেক প্রতিষ্ঠান। এতে বিশেষ করে বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা এলাকার বাসিন্দাদের ঢাকার বদলে ওই এলাকায় চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রাথমিক অবস্থায়ই মনে হচ্ছে এ বন্দর ঘিরে ক্ষীণ উপক‚লের সাগরপারের জনপদের অর্থনৈতিক জীবন যেন পাল্টে গেছে। বন্দরটির কল্যাণে অচিরেই দেশের দক্ষিণ মধ্যবর্তী অঞ্চলে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এ সম্ভাবনা বাস্তব। পরিকল্পনা অনুযায়ী পায়রা বন্দরের সঙ্গে ঢাকা ও অন্যান্য জেলার মধ্যে রেল যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। রাজধানী ঢাকা থেকে রাবনাবাদ চ্যানেলের দূরত্ব প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার।

payra port

পায়রা বন্দর

ফলে তুলনামূলক কম সময়ে রাজধানীর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের কারণে পায়রা সমুদ্র বন্দরের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অভ্যন্তরীণ পণ্য পরিবহন ব্যয় কম হবে। এই বন্দরের আরেকটি সুবিধা এখানে জোয়ার-ভাটা ২৪ ঘণ্টা বিদ্যমান এবং পানির গভীরতাও বেশি। ফলে সরাসরি মাদার ভ্যাসেল থেকে জেটিতে পণ্য খালাস সম্ভব। এ ছাড়া ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারত, নেপাল ও ভুটান এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। আবার বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমারের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক করিডোর বিসিআইএমের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠারও সুযোগ রয়েছে এই বন্দরের। ফলে শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে মাইলফলক হিসেবে গণ্য হতে পারে পায়রা সমুদ্র বন্দর উদ্বোধন। এখন দরকার এই বন্দরকে কেন্দ্র করে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং গৃহীত বিভিন্ন মেয়াদি পরিকল্পনার সঠিক, সময়োচিত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন

কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে এম ভি রয়েল ক্রুজ ২ জাহাজ থেকে যাওয়া যায়। পায়রা বন্দর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রাবনাবাদ চ্যানেলসংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ের টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় অবস্থিত। কলাপাড়া সদর থেকে, হোন্ডা, টেম্পু, অটো রিক্সা, রিক্সা, টমটম, ভ্যান ইত্যাদি, জনপ্রতি ভাড়া আনুমানিক ২০-২৫ টাকা।

এম ভি রয়েল ক্রুজ ২ জাহাজ

১৩ বছর পর খেপু পাড়া (কলা পাড়া ) ঘাট থেকে ঢাকার পথে লঞ্চ চলাচল শুরু ।

এই সেপ্টেম্বর মাসের জোড় তারিখে সরাসরি কলাপাড়া (খেপুপাড়া ঘাট) থেকে দুপুর ১২ টায় এবং বিজোড় তারিখে ঢাকা সদরঘাট থেকে সন্ধ্যা ৬.৩০ এ ছেড়ে যাবে এম ভি রয়েল ক্রুজ ২ জাহাজ।

এখন থেকে প্রতি ট্রিপে জাহাজ টি কলাপাড়া – খেপুপাড়া ঘাটে আসবে।

এম.ভি রয়েল ক্রুজ ২ ।।

ঢাকা – পায়রা বন্দর – কলাপাড়া ( ফতুল্লা, চাঁদপুর, ধুলিয়া, নিমদী, বাশবাড়িয়া, দশমিনা (হাজীর হাট), আউলিয়া পুর, চরকাজল, চালিতাবুনিয়া, কোড়ালিয়া, ফেলাবুনিয়া, বালিয়াতলী (পায়রা বন্দর) – কলাপাড়া। )

ভাড়া সমূহ:

সিংগেল কেবিন – ১২০০/-
ডাবল কেবিন – ২৪০০/-
ভি আই পি কেবিন – ৫০০০/-
ডেক শ্রেনী – ৩৫০/-

কেবিন বুকিং: 01317 905 121, 01721 540 976, 01740 646 822

কলাপাড়া থেকে – 01775 592 607

এম ভি রয়েল ক্রুজ ২

Tags
Show More

ভ্রমণ গাইড

ভ্রমণ নির্দেশনা - দেশ বিদেশ ভ্রমণের সকল তথ্য ও পরামর্শ. বাংলাদেশ ও বিদেশের দর্শনীয় ভ্রমণ স্থানে ঘুড়ে বেড়ানোর সকল তথ্য নিয়েই "দূরে কোথাও!"। কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কি দেখবেন, খরচ, ভ্রমণ গল্প, টিপস ও নিউজ সহ ভ্রমণ সম্পর্কিত সবকিছু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close
error: Alert: Content is protected !!